কোন মেমোরি কার্ড আমরা ব্যবহার করি । তাতে ডিভাইসের লাভ এবং ক্ষতি কি
বিভিন্ন ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন ডিজিটাল ক্যামেরা আইপড ও এমপিথ্রি প্লেয়ার ভিডিও প্লেয়ার ইত্যাদি সেকেন্ডারি সেমিকন্ডাক্টর মেমোরি ব্যবহার করা যায় । আমরা যখন একটি নতুন স্মার্টফোন কিনি এরপর কিন্তু মাথা চিন্তা আসে ।একটা ভালো মেমোরি কার্ডকে যাতে করে আমরা নিজেদের মতো করে ইচ্ছামত ফাইল আমাদের প্রিয় স্মার্টফোনটিকে সংরক্ষণ করে যেখানে সময় ইনস্ট্যান্ট এক্সেস করতে পারি ।
কিন্তু কোন ডিভাইস কি ধরনের মেমোরি সাপোর্ট করে । এবং কোন মেমোরি সবচেয়ে ভালো চল ।সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় আমরা সমস্যা পড়ে থাকি । অনেকে এজন্য প্রথমে জেনে নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কোন ধরনের মেমোরি সাপোর্ট করে । ডিভাইসটিকে মেমোরি কার্ড সাপোর্ট করে না কি রম সাপোট কর । তো আগে জেনে নিতে হবে ।ডিভাইসের মেমোরি কেনাটা তা নিশ্চিত করার পর মেমোরি কার্ড এর প্রকারভেদ কোনটি তা জানতে হবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসের মেনুয়াল কাজে লাগতে পারে ইন্টারনেট থেকেও মেমোরি কার্ডের খুঁজে বের করতে পারবেন ।
কোন কোন কাজে কোন মেমোরি কার্ড উপযুক্ত তা এখন বলব ।
ব্যবহার কারী যদি সিনেমা গান ছবি সংরক্ষণের জন্য মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে চান তাহলে ক্লাস ফোর থেকে উপরের যেকোন কার্ড কিনতে পারেন যদি এইচডি রেকর্ডিং করতে চান এবং সেই রেকর্ডিং সংরক্ষণ করতে চান তাহলে কমপক্ষে ক্লাস সিক্স এর মেমরি কেনা উচিত
অন্যথায় রেকর্ডিং করার সময় অনেক ফ্রেম সংরক্ষণ হতে নাও পারে আবার ভিডিওটি চালানোর জন্য ছবি বা শব্দ আটকে যেতে পারে বা ভিডিও এবং সাউন্ড আগে-পিছে হয়ে যেতে পারে তাই এইচডি মানের ভিডিও রেকর্ডিং ও দেখার জন্য সর্বনিম্ন ক্লাস সিক্স কার্ড ব্যবহার করা উচিত
ফোর কে ভিডিও রেকর্ডিং এবং ছবি তোলার ক্ষেত্রে কমপক্ষে uhs-1 মেমোরি কেনা উচিত স্মার্টফোনের মতো ক্যামেরার এইচডি কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম স্মার্টফোনের অ্যাপ মেমোরি কার্ডে রেখে ব্যবহার করতে চাইলে ক্লাস টেন মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে হবে
ফোরকে ভিডিও রেকর্ড এবং ছবি তোলার ক্ষেত্রে কমপক্ষে uhs-1 মেমোরি কেনা উচিত স্মার্টফোনের মতো ক্যামেরার এইচডি কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে একই নিয়ম স্মার্টফোনের এর মেমোরি কার্ড রেখে ব্যবহার করতে চাইলে ক্লাস টেন মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে হবে
সঠিক স্টোরেজঃ ক্যাপাসিটির মেমোরি কার্ড নির্বাচন
যেকোনো মাইক্রো এইচডি কার্ড যেকোনো micro-sd সিলেটের সহজেই লাগানো গেলেও সব ফরম্যাট এ সব ধরনের ডিভাইস যে কাজ করেনা তিনটি আলাদা কার্ড রয়েছে এগুলো আলাদা স্টান্ডার এবং ক্যাপাসিটি উপর তৈরি এইচডি এইচডি এইচসি এবং এইচডি এক্সছি মাইক্রো এসডি এর ক্যাপাসিটি মাত্র 2 জিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে যেকোনো এসডি কার্ড স্লট এর একটি সমর্থন করে micro-sd he2 জিবি থেকে 32 জিবি প্রজন্ত ক্যাপাসিটি সমর্থন করে যে ডিভাইসগুলো একে সমর্থন করে শুধু সেখানেই একটি চলে আর এইচডি এক্সই স্ট্যান্ডার্ড 5 2gb থেকে 2008 পর্যন্ত মেমোরি কার্ড বানানো সম্ভব আর সাপোর্টেড শুধু এই টাইপের কার্ড কাজে লাগাতে পারে তাই নতুন মেমোরি কার্ড কেনার সময় স্তরেজ ক্যাপাচিটি জেনে নেওয়া খুব প্রয়োজন কারণ বেশিরভাগ সময় একজন ব্যবহারকারী কত ক্যাপাসিটর মেমোরি কার্ড কিনবে সেটা সঠিকভাবে নির্ধারন করতে পারে না এর ফলে প্রয়োজনের তুলনায় হাই ক্যাপাচিটি কার্ড কিনে ব্যবহার করলে ডিভাইস লক হয়ে যায়
সকল ব্র্যান্ডের মেমোরি কার্ডের সাথে বলে দেওয়া হয় লাইফটাইম গ্যারান্টি কিন্তু লাইফটাইম গ্যারান্টি অর্থ কি আমরা অনেকেই জানি না অনেকেই মনে করছেন হয়তো লাইফটাইম মানে আজীবন যেকোনো সময় সমস্যা হল গ্যারান্টি পাওয়া যাবে আসলে মেমোরি কার্ডের লাইফটাইম মানে তা নয়
মেমোরি কার্ডের প্যাকেজিং পড়লেই বোঝা সম্ভব মেমোরি কার্ড তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ফ্ল্যাশ মেমোরি সার্কিট সার্কিট থেকে কতবার ডাটা পড়া লেখা যাবে সেটির একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে কমদামি মেমোরি কার্ডের ক্ষেত্রে হয়তো 10 হাজার বার বেশি দামের ক্ষেত্রে হয়তো এক লক্ষ বার বা হতে পারে এর ইট রাইট সাইকেলের লিমিট করা হয় মেমোরি কার্ডের লাইফটাইম অর্থাৎ কার্ডের গ্যারান্টি ততদিনই পাবেন যতদিন এই লাইফটাইম থাকবে এই লিমিটেডের পর কার্ডটি এমনিতেই নষ্ট হয়ে যাবে তখন দেখা যাবে কার করাট দেখাচ্ছে এবং ফরমেট করাও সম্ভব হয়না মেমোরি কার্ডের গ্যারান্টি না দেখে উচিত লাইফটাইম ট্রাইসাইকেল কতবার যত বেশি হবে সেটি তত ভাল অন্তত অন্তত 1 লক্ষ বার না হলে সেটি কেনা উচিত নয়
মেমোরি কার্ডের গতি বা ক্লাস
মেমোরি কতটা ফাস্ট হবে সেটা নির্ভর করে ক্লাস রেটিং এর ওপর মেমোরি কার্ডের কর্মক্ষমতা অনেকটাই নির্ভর করে তার রিটের ওপর বিশেষ করে ডি এস এল আর ক্যামেরা বা হাই ডিভিশন ভিডিও করার সিস্টেম সহ ফোনের জন্য এটি একটি বড় ব্যাপার তবে এর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে কার্ডটির ক্লাস দেখে কেনা এইচ ডি সি এবং এইচ ডি এফ সি কোড গুলো হাই স্পিড বাস ইন্টারফেস কে সমর্থন করে এই কার্ড গুলো অনেক দ্রুত ডাটা রিড ও রাইট করার ক্ষমতা রাখেন আল্টা হাইস্পিড সাধারণত u.s.s. ধরা হয় তবে u.s.s. থেকে সুবিধা গুলো পেতে অবশ্যই আপনার ডিভাইসটিকে সমর্থন করতে হবে প্লাস্টিক মেমোরি কার্ডের গাইড এর মত করে লেখা থাকে স্পিরিট এর দিকে মেমোরি কার্ড গুলো কে সাধারণত কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথাক্রমে ক্লাস টু প্লাস ফোর প্লাস সিক্স ক্লাস টেন ক্লাস 8
ক্লাস টু সর্বনিম্ন 2 মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড রাইট করা সম্ভব ক্লাস ফোর সর্বনিম্ন 4 মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড রাইট করা সম্ভব ক্লাস সিক্স সর্বনিম্ন 6 মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড রাইট করা সম্ভব ক্লাস 8 সর্বনিম্ন 8 মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড রাইট করা সম্ভব ক্লাস 10 সর্বনিম্ন 10 মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড রাইট করা সম্ভব ক্লাস টি ওয়ান সর্বনিম্ন টেন মেগাবাইটের উপর স্ট্রিটে রাইট করা যাবে
( Thank you for reading this article. please share this and support my websites to grow. এই প্রবন্ধ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ. এটা শেয়ার করুন এবং আমার ওয়েবসাইট বাড়াতে সমর্থন করুন. )
1 Comments
গুড
ReplyDelete